THE CLOUD laughed at the rainbow saying that it was an upstart gaudy in its emptiness. 'The rainbow calmly answered I am as inevitably real as the sun himself.'
হেথায় তাহারে পাই কাছে-- যত কাছে ধরাতল, যত কাছে ফুলফল-- যত কাছে বায়ু জল আছে। যেমন পাখির গান, যেমন জলের তান, যেমনি এ প্রভাতের আলো, যেমনি এ কোমলতা, অরণ্যের শ্যামলতা, তেমনি তাহারে বাসি ভালো। যেমন সুন্দর সন্ধ্যা, যেমন রজনীগন্ধা, শুকতারা আকাশের ধারে, যেমন সে অকলুষা শিশিরনির্মলা উষা, তেমনি সুন্দর হেরি তারে। যেমন বৃষ্টির জল, যেমন আকাশতল, সুখসুপ্তি যেমন নিশার, যেমন তটিনীনীর, বটচ্ছায়া অটবীর, তেমনি সে মোর আপনার। যেমন নয়ন ভরি অশ্রুজল পড়ে ঝরি তেমনি সহজ মোর গীতি-- যেমন রয়েছে প্রাণ ব্যাপ্ত করি মর্মস্থান তেমনি রয়েছে তার প্রীতি।
মা, যদি তুই আকাশ হতিস, আমি চাঁপার গাছ, তোর সাথে মোর বিনি-কথায় হত কথার নাচ। তোর হাওয়া মোর ডালে ডালে কেবল থেকে থেকে কত রকম নাচন দিয়ে আমায় যেত ডেকে। মা ব'লে তার সাড়া দেব কথা কোথায় পাই, পাতায় পাতায় সাড়া আমার নেচে উঠত তাই। তোর আলো মোর শিশির-ফোঁটায় আমার কানে কানে টলমলিয়ে কী বলত যে ঝলমলানির গানে। আমি তখন ফুটিয়ে দিতেম আমার যত কুঁড়ি, কথা কইতে গিয়ে তারা নাচন দিত জুড়ি। উড়ো মেঘের ছায়াটি তোর কোথায় থেকে এসে আমার ছায়ায় ঘনিয়ে উঠে' কোথায় যেত ভেসে। সেই হত তোর বাদল-বেলার রূপকথাটির মতো; রাজপুত্তুর ঘর ছেড়ে যায় পেরিয়ে রাজ্য কত; সেই আমারে বলে যেত কোথায় আলেখ-লতা, সাগরপারের দৈত্যপুরের রাজকন্যার কথা; দেখতে পেতেম দুয়োরানীর চক্ষু ভর-ভর, শিউরে উঠে পাতা আমার কাঁপত থরথর। হঠাৎ কখন বৃষ্টি তোমার হাওয়ার পাছে পাছে নামত আমার পাতায় পাতায় টাপুর-টুপুর নাচে; সেই হত তোর কাঁদন-সুরে রামায়ণের পড়া, সেই হত তোর গুনগুনিয়ে শ্রাবণ-দিনের ছড়া। মা, তুই হতিস নীলবরনী, আমি সবুজ কাঁচা; তোর হত, মা, আলোর হাসি, আমার পাতার নাচা। তোর হত, মা, উপর থেকে নয়ন মেলে চাওয়া, আমার হত আঁকুবাঁকু হাত তুলে গান গাওয়া। তোর হত, মা চিরকালের তারার মণিমালা, আমার হত দিনে দিনে ফুল-ফোটাবার পালা।